নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে দুই প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ নিয়ে এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন রূপগঞ্জের কালিদী এলাকার আহসান উল্লাহর ছেলে নাম মিলন মিয়া (২৫) ও রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম (৭৫)। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. পাপ্পু, প্রাইভেট কারের চালক শুক্কুর আলী ও যাত্রী সজিব মিয়া।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মিলন মিয়া মারা গেছেন। অজ্ঞাত এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চাচাতো ভাই মো. শরিফুল মিলন মিয়ার পরিচয় শনাক্ত করেছেন। মিলন রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রাইভেট কারটির চালক ছিলেন বলে শরিফুল জানিয়েছেন।
মুঠোফোনে শরিফুল বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে মিলন মিয়া রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর কুড়িলে যাচ্ছিলেন। পূর্বাচল শেখ হাসিনা সরণির ভূঁইয়া ব্রিজ এলাকায় গেলে মিলনের প্রাইভেট কারটির চাকা ফেটে পাশের লেনের আরেকটি প্রাইভেট কারে গিয়ে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার খবর শুনে শরিফুল প্রথমে কুর্মিটোলা যান। সেখানে থাকা হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে মিলনকে না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসেন। এখানে এসে জানতে পারেন মিলন মারা গেছেন।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহত আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে কুর্মিটোলায় রেখে গুরুতর দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেট কার রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। এ সময় ঢাকাগামী গাড়িটির চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সড়ক বিভাজক পেরিয়ে পাশের লেনে গিয়ে পড়ে। এ সময় ঢাকা থেকে আসা আরেকটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে সেটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আটজনকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান।