খুলনা মহানগরের লোয়ার যশোর রোডের শঙ্খ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। হঠাৎ কিছু আন্দোলনকারী পিকচার প্যালেস মোড় থেকে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ ও গুলির শব্দ শোনা যায়।
পরে আন্দোলনকারীরা একত্র হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পিছু হটে বড় মির্জাপুর এলাকায় অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ অফিসের দ্বিতীয় তলায় উঠে ভাঙচুর ও চেয়ার–টেবিলে আগুন ধরিয়ে দেন। দীর্ঘ সময় ধরে ওই এলাকায় ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। নগরের ধর্মসভা মোড়েও বেশ কিছু দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সংবাদকর্মীদের ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না।
এরপর আন্দোলনকারীরা খুলনা নগর ভবনে ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে নগর ভবনের কয়েকটি গ্লাস ভেঙে গেছে। জেলা পরিষদের ভেতরের অন্তত তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে খুলনায় যমুনা টিভির নিজস্ব প্রতিবেদক প্রবীর বিশ্বাসের মোটরসাইকেলও আছে।
প্রবীর বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা জেলা পরিষদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেছে। চারটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। তার মধ্যে আমার মোটরসাইকেলটিও আছে। আমি মোটরসাইকেলটি জেলা পরিষদের ভেতরে রেখে বাইরে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ হাওলাদার এবং মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহজালাল হোসেন গুরুতর জখম হয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় পারভেজ হাওলাদারকে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে কারও বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে খুলনা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা।