মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কাছে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে নাহিদুল ইসলাম নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানোর কথা আছে। এর আগে গতকাল রোববার নাটোর সদর উপজেলার লেংগুড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি।
গ্রেপ্তার নাহিদুল বাগাতিপাড়া উপজেলার রিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিলেও কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। পরে নিজেকে একটি সিগারেট কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে লেংগুড়িয়া গ্রামে প্রয়াত এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে যান নাহিদুল ও তাঁর সহযোগীরা। তাঁরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার কাগজপত্র ভুয়া বলে দাবি করেন। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তিদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে নাহিদুল ও তাঁর সঙ্গীরা জানান, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা না দিলে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। পরে পরিবারটি তাঁদের ১০ হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
গতকাল বিকেলে নাহিদুল টাকাটি নিতে গেলে নাহিদুলকে আটক করে পুলিশকে খবর পাঠানো হয়। সমাজসেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এ মুহূর্তে মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাই-বাছাই হচ্ছে না। পরে একটি মোটরসাইকেলসহ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই মামলায় নাহিদুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ওই মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে বলেন, তাঁর বাবা একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মারা গেছেন। তাঁর সরকারি সুবিধাদি এখন তিনি ও তাঁর এক ভাই ভোগ করেন।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাঁরা একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র।