রাজশাহীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ওরফে লিটনের নামে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। নগরের বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব আনজুম (২৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা হয়।
মামলার বাদী নিহত আনজুমের বাবা মাইনুল হক। মামলায় আওয়ামী লীগের রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়েছে। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০ আগস্ট ছাত্রশিবিরের রাজশাহী নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হান হত্যার ঘটনায় খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। পরে ২১ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমানের বাড়িতে ৫ বছর আগের হামলার ঘটনায় খায়রুজ্জামানের নামে মামলা হয়।
গতকাল করা এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিক দত্ত, সাবেক সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ হিল গালিব, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ বলেন, সাকিব আনজুম নিহত হওয়ারর ঘটনায় তাঁর বাবা থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ শুরু করেছে। অধিকাংশ আসামি আত্মগোপনে রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট নগরের আলুপট্টি মোড়ে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধাওয়া খেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন সাকিব আনজুম। তিনি শাহ মখদুম কলেজসংলগ্ন একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁর গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে তাঁর মৃত্যু হয়।