কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে খালপাড়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় আইরিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে ওই গৃহবধূ ছয় দিন ধরে নিখোঁজ আছেন বলে এলাকায় প্রচার করেন তাঁর স্বামী।
আজ রোববার বিকেলে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের পাড় থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূ আইরিনের স্বামী সেলিম মিয়া পরিবারসহ খালপাড়ের নতুন বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের মূল বাড়ি উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মড়হ গ্রামে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গৃহবধূকে হত্যার পর বাড়িসংলগ্ন খালপাড়ে মাটিচাপা দেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক থাকায় শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মনোহরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আইরিন উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তাঁর তিন বছর বয়সী একটি ছেলে ও সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় ৯ বছর আগে সেলিমের সঙ্গে আইরিনের বিয়ে হয়।
এলাকাবাসী জানান, আজ দুপুরে বাইশগাঁও গ্রামে সেলিমের নতুন বাড়িসংলগ্ন নদনা খালের পাড়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করলে এলাকাবাসী মাটিচাপা দেওয়া লাশের বিষয়টি জানতে পারেন। খবর পেয়ে বিকেলে ওই গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসী লাশের সন্ধান পাওয়ার পরপরই সেলিম এলাকা থেকে গা ঢাকা দেন। যৌতুক ও পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্থানীয় লোকজনের ধারণা।
আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন বলেন, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে তিনি আসেন। ২১ অক্টোবর সকালে জামাতা সেলিম মুঠোফোনে কল দিয়ে জানান, আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ওই দিন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি, তাঁরা মেয়েটাকে খুন করে মাটিচাপা দিয়েছেন। তিনি হত্যাকারীদের বিচার চান।