রাজশাহী-৪ আসনে বিএনএম থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা

শহিদুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম। ইতিমধ্যে বিএনএমের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে তিনি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

শহিদুল ইসলাম বাগমারার শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যপদে আছেন। তিনি বাগমারা উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর স্ত্রী কোহিনুর বেগম উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

শহিদুল ইসলামের চাচা ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তুলে জমা দিয়েছেন। ইব্রাহিম হোসেন বর্তমান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরোধী হিসেবে পরিচিত ‘ফোরস্টার গ্রুপের’ সদস্য।

শহিদুল ইসলামের আওয়ামী লীগে সদস্যপদ থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন শুভডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শহিদুল ইসলাম আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেননি।

যোগাযোগ করা হলে শহিদুল ইসলাম আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রার্থী হওয়ার পূর্ব কোনো প্রস্তুতি ছিল না। বিএনএম থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন তিনি প্রার্থী হবেন, এটা নিশ্চিত। এ জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তিনি স্বীকার করেন, তাঁর স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চাচা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তবে সেটি নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁর।

বিএনএমের উপজেলায় কোনো কার্যক্রম নেই। তবে অনেক দিন আগে থেকে উপজেলার তাহেরপুরে একটি ভবনে কার্যালয় হিসেবে দলের একটি সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহিদুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় শিক্ষক সমিতির (মাধ্যমিক) উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে প্রতিটি কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকেন।

জানতে চাইলে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী কোহিনুর বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তিনি শুনেছেন তাঁর স্বামী বিএনএম থেকে নির্বাচন করবেন। তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের বড় পদে আছেন। সেই পদে থেকেই রাজনীতি করতে চান।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়া অন্য কোনো দলের তৎপরতা ছিল না। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি না এলে জাপা ও আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে এলাকায় আলোচনা রয়েছে।

স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনএমের উপজেলায় কোনো কার্যক্রম নেই। তবে অনেক দিন আগে থেকে উপজেলার তাহেরপুরে একটি ভবনে কার্যালয় হিসেবে দলের একটি সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে।