নেত্রকোনা জেলা শিশু একাডেমির কর্মকর্তা মীর বাবুলুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর কার্যালয়ের এক চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় জেলা শিশু একাডেমি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী প্রশিক্ষকের নাম শুভ্র সরকার। তিনি শিশু একাডেমির চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায়। তাঁকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলা শিশু একাডেমি ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুভ্র সরকার ছয় বছর ধরে জেলা শিশু একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত। প্রতি সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার তিনি শিশুদের ছবি আঁকানো শেখান। মাসখানেক আগে বাবার মৃত্যু ও জ্বরের কারণে তিনি শিশু একাডেমিতে যেতে পারেননি। বিষয়টি তিনি শিশু একাডেমির কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি শুভ্র সরকারের জায়গায় পছন্দের একজনকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পাঁয়তারা করার অভিযোগ ওঠে মীর বাবুলুরের বিরুদ্ধে। আজ দুপুরে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে শিশু একাডেমিতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিচারক হিসেবে অংশ নেন শুভ্র সরকার। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে কাজ শেষে কার্যালয় থেকে বের হলে মীর বাবুলুর তাঁকে নিজ কক্ষে ডেকে এনে একাডেমিতে আসতে নিষেধ করেন। শুভ্র এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর বাবুলুর তাঁকে গালিগালাজ করেন এবং কক্ষের দরজা বন্ধ করে শুভ্রকে কিল, ঘুষি, চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন। পরে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় নেত্রকোনা শহরের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবাদ জানিয়েছে।
শুভ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্মস্থলে আসতে নিষেধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে দেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মীর বাবুলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুভ্র আমার কক্ষে এসে আমাকে গালিগালাজ করেছে। আমি তাকে মারধর করিনি। এটা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।