নোয়াখালীর হাতিয়ায় কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসার টিনশেড ঘর। আজ দুপুরে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসার টিনশেড ঘর। আজ দুপুরে

নোয়াখালীতে ঝোড়ো হাওয়ায় ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২০টি বসতঘর বিধ্বস্ত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঝোড়ো হাওয়ায় বুড়িরচর ও সোনাদিয়ার দুই ইউনিয়নের ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ২০টি কাঁচা ঘর। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হওয়া ঝড়ের পর এসব ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। তবে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তীব্রবেগে ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের সঙ্গে চলতে থাকে একের পর এক বজ্রপাত। এতে সোনাদিয়া ইউনিয়নের সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসা ও স্লুইচের বাজার নুরানি মাদ্রাসার টিনশেড ঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। এ ছাড়া বুড়িরচর ইউনিয়নের এ গনি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পশ্চিম বড়দেইল আজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ ও বুড়িরচর আহম্মদিয়া আলিম মাদ্রাসার টিনশেড ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে দুটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ২০টি কাঁচা ঘরের ক্ষতি হয়েছে।

বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম জানান, ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া কমপক্ষে ১০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে।

এদিকে সোনাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ঝড়ে তাঁর ইউনিয়নে দুটি মাদ্রাসার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছ উপড়ে পড়ে কমপক্ষে ১০টি কাঁচাঘর ভেঙে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

এলাকার মানুষের অনুদানে ১২০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে সোনাদিয়া মডেল নুরানি মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম বলেন, ঝড়ের আঘাতে তাঁদের মাদ্রাসার টিনশেড ঘরটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। তবে মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় কেউ হতাহত হয়নি। কিন্তু একমাত্র ঘরটি বিধ্বস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঘরটি মেরামত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হবে।