আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা থানাসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা
আন্দোলনকারী শ্রমিকেরা থানাসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা

মির্জাপুরে থানা ও কয়েকটি শিল্পকারখানায় আগুন দিয়েছেন শ্রমিকেরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের সময় গোড়াই হাইওয়ে থানায় আগুন দিয়েছেন শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকেরা। আজ রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানান, রোববার দুপুরের পর হঠাৎ পার্শ্ববর্তী কালিয়াকৈর এলাকা থেকে সহস্রাধিক মানুষ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ধরে মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় আসেন। তাঁরা রাস্তার দুই পাশে থাকা জিএমএস টেক্সটাইল, স্ক্যান্ডেক্স, নিউটেক্স, কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড, সাউথ ইস্ট টেক্সটাইল, মণ্ডল স্পিনিং, নাসির গ্লাসওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানাসহ বেশ কয়েকটি কারখানা ভাঙচুর করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকেরা স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ব্যক্তিগত সহকারী মীর আসিফ অনিকের ব্যক্তিগত কার্যালয় ও গোড়াই হাইওয়ে থানায় আগুন দেন। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়লে শ্রমিকেরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা পাল্টা আক্রমণ করলে পুলিশ থানায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মির্জাপুর থানা-পুলিশ হাইওয়ে থানা থেকে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসে। পরে থানা অরক্ষিত হয়ে পড়লে শ্রমিকেরা থানার তিনতলা ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা থানার আগুন নেভাতে গেলে শ্রমিকেরা তাঁদের ধাওয়া করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়ি নিয়ে পিছু হটতে থাকেন।

এ ঘটনায় হাইওয়ে থানার অন্তত সাত পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশত আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুজন মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, থানার সামনে আগুন নেভানোর জন্য গেলে শ্রমিকেরা তাঁদের ধাওয়া করলে সেখানে তাঁরা পৌঁছাতে পারেননি।

গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আদিল মাহমুদ জানান, সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা মির্জাপুর থানায় অবস্থান করছেন।