নির্মাণাধীন এই তিন তলা ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায়
নির্মাণাধীন এই তিন তলা ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায়

সিদ্ধিরগঞ্জে রড ওঠানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনতলা থেকে পড়ে দুজনের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন একটি তিনতলা ভবনের ওপর থেকে পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কদমতলী এলাকার ফয়সাল আহমেদের নির্মাণধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন হলেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের ভেজাল বর্মনের ছেলে ছায়াপদ (৩৫) ও একই উপজেলার পাথরখুড়া গ্রামের মৃত হরিদাসের ছেলে নীল দাস (৬০)। তাঁরা সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পেশায় তাঁরা অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি বাসাবাড়ির মালামাল ওঠানামার কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কদমতলী এলাকায় নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনের ছাদে লোহার রড ও অ্যাঙ্গেল ওঠানোর সময় বিদ্যুতের তাঁরের সঙ্গে স্পর্শ লাগে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছায়াপদ ও নীল দাস ওপর থেকে নিচে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুজনের মৃত্যুতের স্বজনদের আহাজারি।বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীনুর আলম বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার করা হবে।

নীল দাসের স্ত্রী সন্ধ্যা বালা সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর স্বামী নীল দাস এবং খালু ছায়াপদ অটোরিকশাচালক। পাশাপাশি তাঁরা বাসাবাড়ির মালামাল ওঠানামার কাজ করতেন। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে কীভাবে তাঁদের সংসার চলবে, তা বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।