পাবনায় জহুরুল ইসলাম ওরফে ডাক বাবু (৫৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার রাতে জেলা সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ নতুন পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহুরুল ইসলাম জেলা সদরের গয়েশপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর নতুন পাড়া গ্রামের মৃত আজহার শেখের ছেলে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তিনি গয়েশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জের ধরে হত্যার এ ঘটনাটি ঘটতে পারে।
গয়েশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন বলেন, নিহত জহুরুল ইসলাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সদস্য। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত পুরোনো দ্বন্দ্ব থেকে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান মোতাহার।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত জহুরুল হক ব্যক্তিগত কোনো কাজে নিজ ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নলদহ গ্রামে যান। কাজ শেষে করে রাত ৯টার দিকে তিনি গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় পাঁচ থেকে সাতজনের এক দল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘জহুরুল আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত কর্মী। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’