দুজনেরই গ্রামের বাড়ি রংপুরে। তাঁরা পেশায় শ্রমিক। একসঙ্গে থাকেন। এর মধ্যে শ্রমিক মঞ্জুরুল ইসলামের ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুল ইসলাম সন্দেহ করেন তাঁর সহকর্মী নাহিদকে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। মঞ্জুরুল তাঁর সহকর্মী নাহিদের মা–বাবাকেও বিষয়টি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্জুরুলকে ঘুমন্ত অবস্থায় নাহিদ কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের দুর্গাপুরসংলগ্ন নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে ডোবা থেকে মঞ্জুরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নাহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তারের পর নাহিদ অপর শ্রমিক মঞ্জুরুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
নিহত মঞ্জুরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি আলা মিয়ার ছেলে। অপর দিকে গ্রেপ্তার নাহিদ মিয়ার বাড়ি (১৮) রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঞ্জুরুল ইসলাম ও নাহিদ মিয়া একসঙ্গে থাকেন। তাঁদের মধ্যে মঞ্জুরুল আক্তার হোসেনের একটি খামারে কাজ করেন। আর নাহিদ দিনমজুরের কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে মঞ্জুরুল ইসলামের ১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি হয়। এ নিয়ে মঞ্জুরুল নাহিদ কে সন্দেহ করেন। পরে নাহিদের মা–বাবাকেও বিষয়টি জানানো হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মঞ্জুরুলকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বস্তাবন্দী করে ডোবায় মাটিচাপা দেওয়া হয়।
নাহিদ মিয়া বলেন, ‘আমাকে চোর বলায় তাঁকে (মঞ্জুরুল) আমি হত্যা করি।’
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নাহিদ হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। চোর বলাতে মঞ্জুরুলকে হত্যা করা
হয়।