কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিক্ষোভরত এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিক্ষোভরত এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে

দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের মাথার লাল রিবন খুলে নিল পুলিশ, আটক ১৯

শিক্ষার্থীদের হাতে স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও মাথায় বাঁধা লাল রিবন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে তাঁরা জড়ো হচ্ছিলেন দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ মাঠসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ১৯ শিক্ষার্থীকে আটক করার পাশাপাশি কয়েকজনের মাথার লাল রিবন খুলে নেয় পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। এর আগে শিক্ষার্থীদের জড়ো হওয়ার কথা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা অবস্থান নেন।

পুলিশ ভ্যানে ওঠানোর সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে কয়েকজন শিক্ষার্থী চিৎকার করে বলেন, ‘আমাদের অপরাধ কী? আমরা আপনাদের কাছে বিচার চাই। কেন আমাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসনকে আমরা বন্ধু বলতাম। আজ প্রশাসন আমাদের শত্রু হয়ে গেছে। আমরা কোনো বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করিনি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে আমরা চলে যেতাম। বরং পুলিশ এসে আতঙ্কজনক পরিবেশ তৈরি করে আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দিনাজপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। আজ দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে

এদিকে ঘটনার পর থেকে পুরো শহরজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে। শহরের হাসপাতাল মোড়, লিলির মোড়, মডার্ন মোড়, কলেজ মোড়, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, কাঞ্চনঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।

দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তাঁদের মধ্য থেকে ১৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তাঁরা আসলে প্রকৃত শিক্ষার্থী কি না, তা খোঁজখবর নিয়ে যদি সহিংসতার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়া যায়, তাহলে অভিভাবকদের ডেকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।