ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনের পথে পুনরায় পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফের দমদমিয়ার জেটিঘাট থেকে তিনটি জাহাজে ১ হাজার ৩১০ পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে গেছেন।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনের নৌপথে দুই দিন ধরে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। আবহাওয়া অধিদপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কসংকেত প্রত্যাহার ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে কোনো বাধা নেই। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে তিনটি জাহাজ ছেড়ে গেছে। সোমবার প্রশাসনের নির্দেশনার পরও স্বেচ্ছায় সেন্ট মার্টিনে থেকে যাওয়া আড়াই শতাধিক পর্যটক আজ ফিরতে পারবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইনে ১৭৫ জন, কেয়ারি সিন্দাবাদে ৩৬৭ ও এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে ৭৬৮ পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন। জাহাজগুলো বেলা একটার মধ্যে সেন্ট মার্টিন জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বিকেলে ফেরার পথে স্বেচ্ছায় দ্বীপে থাকা আড়াই শতাধিক পর্যটককে নিয়ে আসবে জাহাজগুলো।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাইকিং করে গত সোমবার দুপুরে সব পর্যটকের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়তে বলা হয়। ওই দিন বেলা তিনটায় সেন্ট মার্টিনের জেটিঘাট থেকে পর্যটকদের নিয়ে তিনটি জাহাজ টেকনাফের উদ্দেশে রওনা হয়। জাহাজ তিনটিতে পর্যটকসহ দুই হাজারের কাছাকাছি যাত্রী ছিলেন। সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে পৌঁছানোর পর থেকে এই নৌপথে জাহাজসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, গত সোমবার মাইকিং করার পরও আড়াই শতাধিক পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রয়েছেন। এর মধ্যে দুই দিন নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা টেকনাফে ফিরতে পারবেন।