নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা মো. হেলালের চিকিৎসা চলছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে
নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করা মো. হেলালের চিকিৎসা চলছে। নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে

নরসিংদীতে এক প্রবাসীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম

নরসিংদী সদর উপজেলায় মো. হেলাল (৬০) নামের এক প্রবাসীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের বালুয়াঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত হেলাল উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিন যুগ ধরে তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে ফেরেন তিনি।

ভুক্তভোগীর স্বজনদের অভিযোগ, গত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল সরকারকে সমর্থন না করায় হুমকি পেয়ে আসছিলেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা নরসিংদী শহরে বসবাস করেন। আজ সকালে হেলাল ও তাঁর ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম গ্রামে যান। বিকেলের দিকে মোটরসাইকেলে শহরে ফেরার সময় বালুয়াঘাট এলাকায় জালাল সরকারের লোকজন পথরোধ করে হেলালকে উপর্যুপরি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন।

স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় হেলালকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে নিয়ে স্বজনেরা ঢাকায় রওনা হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার জানান, ওই ব্যক্তির হাত ও পায়ের ছয় জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে।

আহতের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে, এলাকায় ঢুকলেই ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে, এই হুমকি দিয়ে আসছিলেন জালাল সরকারের লোকেরা। তিন যুগ ধরে আব্বা সৌদি আরবে ছিলেন। এক মাস আগে ছুটিতে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য মন ছটফট করছিল তাঁর। আজ বাড়িতে গেলেন। আর ফেরার পথেই তাঁকে কুপিয়ে আহত করল জালাল সরকারের লোকেরা। আর ১৫ দিন পরেই তাঁর সৌদি আরবে ফেরার কথা ছিল।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল সরকারের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কলা করা হলেও তিনি ধরেননি। জানতে চাইলে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ঘটনা শুনেছেন। কিন্তু কোনো অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।