সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদের (পলক) নামে দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও দলীয় কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাদের মারধরের অভিযোগে নাটোরের সিংড়া থানায় মামলা দুটি করেন বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতা।
উপজেলার ১২ নম্বর রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম মারধরের অভিযোগে মামলাটি করেছেন। জুনাইদ আহ্মেদ ছাড়াও এ মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলাটি করেছেন রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শিমুল হোসেন। এ মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৭ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে কৈগ্রাম এলাকায় ৩০ থেকে ৪০ জন মোটরসাইকেল ও ভ্যানে করে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় লোহার রড দিয়ে বিএনপি নেতাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। বাদীর একটি মুঠোফোন ছিনতাই করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মামলা করলে সে সময় প্রাণনাশেরও হুমকি দেন আসামিরা।
অপর মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের এজেন্ট থাকা অবস্থায় বাদোপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে মারধর করে মুঠোফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন যুবদল নেতা শিমুল হোসেন। পরদিন উপজেলার হরিণী তিন মাথা মোড়ে এসে বাদীকে রক্তাক্ত করেন আসামিরা।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম দুটি মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।