গাজীপুরের শ্রীপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের একটি পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। নিহত দুই শিশু হলো সোনাব গ্রামের মো. কাইয়ুমের ছেলে মো. নাসিব (১০) এবং পাশের মোড়লপাড়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মো. জাহিদ (১০)।
শিশু দুটির স্বজনেরা জানান, নাসিব ও জাহিদ দুজনেই কাওরাই ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসায় একই শ্রেণিতে পড়ত। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় তারা দুজন বাড়িতে ছিল। আজ সকালে নাশতা করার আগেই নাসিব বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু নাশতা খাওয়ার জন্য বাড়ি না ফেরায় মা মারজিয়া বেগম তাকে খুঁজতে বের হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাচ্ছিলেন না। পরে জানতে পারেন, পাশের গ্রামের ছেলের সহপাঠী জাহিদও বাড়িতে নেই। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে সদ্য খনন করা পুকুরে সন্তানের জুতা জোড়া ভাসতে দেখেন মা মারজিয়া। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মায়ের পায়ে শক্ত কিছুর ধাক্কা লাগে। উঠিয়ে দেখতে পান নিজের সন্তানের নিথর মরদেহ। এরপর আশপাশের লোকজন ওই পুকুরে নেমে সন্ধান চালিয়ে জাহিদের নিথর দেহও উদ্ধার করেন। ওই দুই শিশুকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নাসিবকে পাচ্ছিলেন না তার মা মারজিয়া বেগম। পরে জানতে পারেন, পাশের গ্রামের ছেলের সহপাঠী জাহিদও বাড়িতে নেই।
জাহিদের বাবা কালু মিয়া বলেন, দোকান থেকে খাবার কিনতে তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে বের হয়েছিল জাহিদ। ছেলেকে টাকা দিয়ে তিনি তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলে যান। এরপর তিনি শুনতে পান, ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি তাঁর ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান।
নাসিবের স্বজন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পুকুরটি নতুন খনন করা। পানি খুবই ময়লা। এর পাড় খুবই খাড়া। বৃষ্টির কারণে পাড় পিচ্ছিল হয়ে আছে। এই পুকুরে সাঁতার কাটার জন্য শিশুদের নামার কথা নয়। তা ছাড়া ওই দুই শিশু সাঁতার জানত না। হয়তো তাদের মধ্যে একজন পিছলে পানিতে পড়ে যায়। এরপর তাকে বাঁচাতে দ্বিতীয়জনও হয়তো পানিতে নেমেছিল।