মুন্সিগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেওয়া যাত্রীবাহী বাসের চালক মোহাম্মদ নূরুদ্দিন ‘কৌশলে’ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। গতকাল শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে র্যাব তাঁকে আটক করে। র্যাব ১০-এর সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) তাপস কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সদর দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা, র্যাব-১০ ও র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজ এলাকা থেকে নূরুদ্দিনকে (২৯) আটক করে। তাঁর বাড়ি ভোলার দৌলতখানের মধ্য জয়নগরে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি র্যাবকে বলেন, দুর্ঘটনার পর কৌশলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি অটোরিকশায় করে আবদুল্লাহপুরে যান। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তিনি নারায়ণগঞ্জে ফুফাতো বোনের বাসায় যান। সেখান থেকে র্যাব তাঁকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে নূরুদ্দিন র্যাবকে বলেন, ১০ বছর ধরে তিনি বাস, ট্রাক, পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি চালিয়ে আসছেন। তবে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। তিনি যে বাসটি চালাচ্ছিলেন, সেটির ফিটনেস সনদ ছিল না।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে একই পরিবারের চারজনসহ দুটি গাড়ির ছয় আরোহী নিহত ও চারজন আহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার নন্দনকোনা গ্রামের বাসিন্দা ও দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কারের মালিক নুর আলমের স্ত্রী আমেনা আক্তার (৪০), তাঁর বড় মেয়ে ইসরাত জাহান (২৪), ছোট মেয়ে রিহা মনি (১১), ইসরাত জাহানের ছেলে আইয়াজ হোসেন (২), মোটরসাইকেলের চালক সুমন মিয়ার স্ত্রী রেশমা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৭)।