ওসির কবজি কামড়ে পালালেন যুবলীগ নেতা, আরও ৫ পুলিশ সদস্য আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গাড়িতে তোলার সময় হত্যা মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি হালিম মিয়াকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হালিম মিয়া উপজেলার রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও একই ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের আবদুর কাদিরের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও পুলিশ আহত করার ঘটনায় মামলা আছে। মাসুদ মিয়া নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলার আসামি তিনি। গতকালের ঘটনায় হালিমের বিরুদ্ধে থানায় নতুন আরেকটি মামলা হয়েছে।

গতকালের হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সামিম ভূঁইয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রমজান চৌধুরী, মো. আবদুর রশিদ, আবুল কালাম ও বিল্লাল হোসেন। তাঁরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হত্যা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় হালিম মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তিনি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে জানতে পারে নবীনগর থানার পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির ১২ সদস্যের দল নিয়ে রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে হালিমের বাড়িতে অভিযান চালান। গ্রেপ্তার করে পুলিশের ভ্যানে উঠানোর সময় হালিমের লোকজন পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। এ সময় ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের বাঁ হাতের কবজিতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যান হালিম। বাধা দেওয়াসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে এসআই নাসির উদ্দিনকে দা দিয়ে কোপ দেন তিনি। হামলায় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। তাঁরা নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। তাঁদের মধ্যে এসআই নাসির উদ্দিনের মাথায় আটটি সেলাই লেগেছে।

ওসি হুমায়ূন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি হালিম একজন ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চারটি মামলা আছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজির মামলার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় পেছন থেকে তাঁর লোকজন অতর্কিতভাবে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ হামলা চালান। হালিম অনেক শক্তিশালী হওয়ায় আমার হাতের কবজিতে কামড়সহ পুলিশের আরেক সদস্যের মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মামলা হয়েছে।’