শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বিলে নৌকা ডুবে মেডিকেল শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের কান্দুলি গ্রামের বাইলসা বিলের নলাডুবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিক্ষার্থীরা হলেন মোশারফ হোসেন মিল্টন (২১) ও মো. আমানউল্লাহ (২৩)। মিল্টন রংপুর মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও উপজেলার কান্দুলি গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। অন্যদিকে আমানউল্লাহ উপজেলার তিনআনী আদর্শ ডিগ্রি সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন উপজেলার কান্দুলি গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫), শরিফুল ইসলাম (২১) ও মো. সোহেল (২৩)। তাঁদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর কান্দুলি গ্রামের আট বন্ধু ঈদের আনন্দ করতে দুটি ছোট নৌকা ভাড়া করে উপজেলার বাইলসা বিলে ঘুরতে যান। একপর্যায়ে বিলের নলাডুবা এলাকায় ঢেউয়ের তোড়ে একটি নৌকা উল্টে যায়। এ সময় আরেক নৌকার বন্ধুরা তাঁদের বাঁচাতে গেলে তাঁদের নৌকাটিও উল্টে যায়। এতে মোশারফ হোসেন মিল্টন, আমানউল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও মো. সোহেল বিলের পানিতে তলিয়ে যান। পরে অন্য বন্ধুদের ডাকচিৎকারে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে এসে তাঁদের উদ্ধারে নামেন। তবে ততক্ষণে মেডিকেল শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন মিল্টন মারা যান। এলাকাবাসী অন্যদের উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলেজশিক্ষার্থী আমানউল্লাহও মারা যান। গুরুতর আহত তরিকুল, শরিফুল ও সোহেলকে জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। অন্য তিন বন্ধু সুস্থ আছেন।
ঝিনাইগাতী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইস্কান্দার হাবিব আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃত শিক্ষার্থীদের লাশ দাফনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।