বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলি চালানোর ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এমন ঘোষণা দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু মুহাম্মদ রায়হান।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আবু মুহাম্মদ রায়হান নিজের ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট করেন। ঘোষণার বিষয়টি তিনি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের পুলিশে সোপর্দ করলে এক লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।’ ওই পোস্টের নিচে এক মন্তব্যে তিনি লিখেন, ‘এ ঘোষণা শুধু কুমিল্লা অঞ্চলের জন্য। আটক ব্যক্তি অবশ্যই অস্ত্রধারী, অস্ত্র বহনকারী, অস্ত্র সরবরাহকারী ও সংরক্ষণকারী হতে হবে। নামমাত্র পদধারী কোনো ব্যক্তিকে আটকের জন্য এই পুরস্কার প্রযোজ্য হবে না।’
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আবু মুহাম্মদ রায়হান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাসেল ভাইপার সাপ যখন চারদিকে বেড়ে গিয়েছিল, তখন পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়ায় মানুষ সাপটি ধরে বস্তার ভরে নিয়ে আসে পুরস্কারের জন্য। একইভাবে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের কেউ ধরে যদি বস্তায় ভরে নিয়ে আসে পুলিশের কাছে, তাহলে বিষয়টি খারাপ হবে না। এ জন্যই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি এবং ঘোষণা অনুযায়ী কেউ সন্ত্রাসীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে।’
পুরস্কারের অর্থ কোথা থেকে আসবে, জানতে চাইলে রায়হান বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরাই বিস্কুটের বাক্সে করে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে আন্দোলন করেছি। এখনো আমরা নিজেরাই এই পুরস্কারের অর্থ দেব একইভাবে। আমরা অন্য কারও কাছ থেকে অর্থ দিয়ে এই পুরস্কার দেব না।’
আবু মুহাম্মদ রায়হানের ভাষ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। তারা ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি, ককটেল ছুড়েছে। ওই সময় প্রচুর অবৈধ অস্ত্র ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের কাছে ছিল। এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার জন্য অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তাঁরা।