চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন বারাদি সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৮২ নম্বর প্রধান খুঁটির কাছাকাছি ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন বিজয়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় গুলির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে বিএসএফ তাঁদের গুলি করেছে বলে ধারণা করছে জেলা পুলিশ। নিহত দুজন হলেন দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মো. সাজেদুর রহমান (২৭) ও একই গ্রামের মো. শরীয়তউল্লাহর ছেলে খাজা মঈনুদ্দীন (৩০)।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছয়ঘরিয়া গ্রাম থেকে সাজেদুর রহমান ও খাজা মঈনুদ্দীন নামে বাংলাদেশি দুজন নাগরিক শনিবার দিবাগত রাতে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন এবং বিএসএফের গুলিতে নিহত হন। এ ব্যাপারে বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে আলোচনা ও আইনগত প্রক্রিয়া মেনে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাজেদুর ও খাজা মঈনুদ্দিন চোরাকারবারী পণ্য আনতে শনিবার দিবাগত রাতে বারাদি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাঁরা ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন বিজয়পুর এলাকায় পৌঁছালে বিএসএফের সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। সকালে সীমান্ত এলাকার মানুষের মুখে মুখে তা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে ৬ বিজিবির চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, নিহত দুজনের পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গেছে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতে তাঁরা দুজন শনিবার দিবাগত রাতে ভারতে গিয়েছিলেন। অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে বিএসএফ তাঁদের গুলি করে হত্যা করে।