সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দলটির নেতারা। গণসমাবেশ উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় বক্তারা এ আশাবাদ প্রকাশ করেন।
আগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে আজ বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বোয়ালজুর, পশ্চিম গৌরীপুর ও দেওয়ানবাজার ইউনিয়নে তিনটি পৃথক প্রস্তুতি সভা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
প্রস্তুতি সভাগুলোয় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী। এ সময় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা আবু তাহের, মাহবুব আলম, শাহীন আলম, সাইফুল ইসলাম, পাবেল রহমান, আবুল কাশেম, নাহিদ হোসেন, রিফল আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ক্ষমতাসীনদের লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনীতি এখন ভেঙে পড়েছে উল্লেখ করে আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, জনগণের করের টাকায় দেশকে বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার স্বপ্ন দেখিয়ে এই টাকা আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট করে খেয়ে এখন বলছে, দেশবাসীকে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে না। দেশের রিজার্ভের যে অবস্থা, তাতে এখন এলএনজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দেশের মানুষ অন্ধকারে রয়েছে। দিনের বেলা বিদ্যুৎ না থাকলে কৃষি ও শিল্পতে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এতে দেশে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গণতন্ত্র নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই বিরোধী দলকে বরদাশত করেনি। কারণ, তারা জনগণকে ভয় পায়। এ কারণেই বিএনপির সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য দুর্বৃত্তের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তারা। তবে জনগণ যখন রাস্তায় নেমেছে, তখন সরকারের পতন নিশ্চিত না করে ঘরে ফিরবে না। সরকার আর পেটোয়া বাহিনীর কোনো বাধাই জনস্রোত আটকাতে পারছে না।
প্রধান বক্তা এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা করছে, গুম করছে। দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে। তাই আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।