গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, মাকেও প্রার্থী করেন। কিন্তু খেলাপি ঋণের দায়ে জাহাঙ্গীরের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আপিলে আদেশ তাঁর পক্ষে যায়নি। আদালতে গেলে বিষয়টি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। এখন তিনি মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দলে সুপারিশ করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে প্রথম আলো কথা বলেছে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে।
প্রথম আলো: আওয়ামী লীগ থেকে আপনাকে ‘চিরতরে’ বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে দলটির সম্পাদকমণ্ডলী। বিষয়টি কি আপনি জানেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে বিষয়টি আমি জানি না বা কেউ জানায়নি।
প্রথম আলো: আপনি আবারও দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন বলে ওই সুপারিশে বলা হয়েছে। বিষয়টি কী?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি দলের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি। আমি নৌকার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলিনি। আমি একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলেছি।
প্রথম আলো: নির্বাচনী প্রচারণা থেকে কোনো কারণে আপনার সরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আছে?
জাহাঙ্গীর আলম: কোনো অবস্থা থেকেই সরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমার মা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে, তাই আমাকে তার পাশে থাকতেই হবে।
প্রথম আলো: মায়ের নির্বাচনী প্রচারে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি?
জাহাঙ্গীর আলম: আমার মায়ের প্রতিপক্ষরা শত শত নেতা-কর্মী নিয়ে প্রচারে বের হন। আর আমাকে বলে চারজন নিয়ে বের হতে। আমি চারজন নিয়েই বের হই। কিন্তু এলাকায় গেলে হাজার হাজার লোক আমার সঙ্গে যোগ হয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য হয়তো প্রতিপক্ষরা ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে পথসভা করেন, মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে না। আমি করতে গেলেই চারজন ছাড়া বাধা দেয়। জনগণের জন্য নির্বাচন, তাঁরা যদি আমার সঙ্গে আসেন, আমি কী করতে পারি?
প্রথম আলো: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোনো নেতার সঙ্গে আপনার যোগাযোগ হয়েছে কি?
জাহাঙ্গীর আলম: না। এখন পর্যন্ত কোনো কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি।
প্রথম আলো: কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচন থেকে সরে যেতে বললে কী করবেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি এবং আমার মা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব।