বিএনপির পঞ্চম দফায় সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন বগুড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার লিচুতলা মোড়সংলগ্ন দ্বিতীয় বাইপাস সড়ক এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর থেকেই বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা মহাসড়কের লিচুতলা বাইপাস এলাকায় অবস্থান নেন। ফাঁকা মহাসড়ক অবরোধ করে নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন দাবি করে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অবরোধের সমর্থনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে হেলালুজ্জামান তালুকদার ছাড়াও বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার, সাবেক সহসভাপতি ফজলুল বারী তালুকদার, জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খাদেমুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আবু হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।
সমাবেশ চলাকালে অদূরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার বলেন, ‘দলের এক দফা দাবি উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ আবারও ভোট ডাকাতির প্রহসনের নির্বাচনের অপচেষ্টা করছে। এ জন্য তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত আমরাও মাঠে থেকে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি কিছু কৌশল নিয়েছি। তফসিল ঘোষণার পর আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে।’
শহরতলির লিচুতলা এলাকায় মহাসড়কে দায়িত্বরত বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বাইপাস সড়কে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল। ওই সময়ে যানবাহন প্রথম বাইপাস সড়ক হয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করেছে। সহিংসতা এড়াতে পুলিশ তাঁদের ওপর কোনো অ্যাকশনে যায়নি। মহাসড়ক থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার পর বেলা ১১টা থেকে দ্বিতীয় বাইপাস সড়কেও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।