সিলেটে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী হাসন উৎসব। প্রয়াত মরমি কবি হাসন রাজা স্মরণে এ উৎসবের আয়োজন করেছিল হাসন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ।
নগরীর রিকাবিবাজার এলাকার কবি নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটায় উৎসবের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গীতিকার ও শিল্পী এবং হাসন উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. জহিরুল ইসলাম অচিনপুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রবীণ শিল্পী আকরামুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক ও জামাল উদ্দিন হাসান, গবেষক সুমনকুমার দাশ, মোস্তফা সেলিম ও সৈয়দা আঁখি হক প্রমুখ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু সালেহ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন।
সভায় বক্তারা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসন রাজাকে সারস্বত সমাজে পরিচিত করে দিয়েছেন। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁর গান ও জীবন নিয়ে উচ্চমানের গবেষণা কমই হয়েছে।
সমাপনী পর্বের আলোচনা শুরু হয় হাসন রাজার লেখা ‘বাউলা কে বানাইলো রে’ গানটি শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের মাধ্যমে। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জান্নাতুন নাজনীন।
সমাপনী পর্বে আটজন বিশিষ্ট গুণীকে ‘হাসনরত্ন সম্মাননা’ ক্রেস্ট দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন শিল্পী আকরামুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরী, নাট্যকার শাকুর মজিদ, শিল্পী উজির মিয়া (মরণোত্তর), ইয়ারুন্নেসা (মরণোত্তর), আবদুল লতিফ (মরণোত্তর) ও বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর)।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। এতে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা হাসন রাজার গান পরিবেশন করেন। এর আগে ‘হাসন রাজার স্বরূপ’ শীর্ষক ভিজু৵য়াল উপস্থাপনা করেন নাট্যকার শাকুর মজিদ।