ঢাকার সাভার ও ধামরাই উপজেলায় আজ সোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের ছোড়া গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশতাধিক। নিহত হয়েছেন অন্তত ১৮ জন।
সংঘর্ষের সময় সাভারের পাকিজা এলাকায় শ্রাবণ গাজী (২১) নামের একজন নিহত হয়েছেন। শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, আজকে সংঘর্ষের ঘটনার পর হাসপাতালটিতে ৫ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তিনজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ছাড়া দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রমজান, মোজাহিদ, নাফিসা, তৌহিদুর রহমান, রাসেল, রফিক, নিসান ও শব্দ। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. ইউসুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালে রাত ৮টা পর্যন্ত ২৫-৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩ জনকে মৃত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের একজনের নাম জাহিদুল ইসলাম (২৫)। বাকিদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ৩০ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তাঁদের শরীরে গুলি লেগেছে।
সাভারে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমন্বয়ক গোলাম রহমান শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। কারও মাথায়, কারও পেটে গুলি লেগেছে। এ ছাড়া ৮০ জন ভর্তি রয়েছেন।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আমাদের তিনটি থানায় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। লুটপাট হয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে। সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা চলছে।