পাবনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষে গোলাগুলিতে আটজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তিন দিনেও মামলা হয়নি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। তবে ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল রোববার রাতে ছাত্রলীগের একাংশ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন বলেন, গতকাল রাত নয়টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শহরের জিলা স্কুল মোড়ে জমায়েত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের আবদুল হামিদ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। হামলাকারীরা চিহ্নিত, তবুও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হলে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারকে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। তারা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। তবে এখনো এজাহার দেননি। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অস্ত্রধারীদের শনাক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মামলাটি হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সম্প্রতি জেলা শহরে ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মেহেদী হাসান এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতে আরাফাত ওরফে সিফাত পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মাসুম বাজারের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আটজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছেন। তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেছেন ‘সিফাতের লোকজন মেহেদীর লোকজনের ওপর হামলা করেছে। তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা চলছিল।’