ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়
ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়

ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশ শুরু

ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে ময়মনসিংহ শহরের পলিটেকনিক মাঠে এই সমাবেশ শুরু হয়। বেলা সোয়া দুইটার দিকে সমাবেশ মঞ্চে উঠেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম।

সমাবেশে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ বিএনপির নেতা–কর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন। তবে সমাবেশে আসতে তাদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকি-বাধা, লাঠি নিয়ে সড়কে অবস্থান ও  যানবাহন থেকে নামিয়ে দেওয়ার পরও ময়মনসিংহের সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনাকীর্ণ হয়ে উঠে সমাবেশস্থল ময়মনসিংহের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠ। স্লোগান, মিছিল আর বাদ্যের তালে তালে মুখরিতে হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

আজ শনিবার দুপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই বৃহত্তর ময়মনসিংহের চার জেলা ও আশপাশের নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কিন্তু সরকার দলীয় লোকজন বিএনপির নেতা-কর্মীরা যাতে সমাবেশে আসতে না পারেন, এ জন্য বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি সড়কে লাঠি নিয়ে অবস্থান করে সমাবেশে যোগ দিতে আসা লোকজনকে বাধা দিতে থাকেন। কিন্তু এসব বাধা উপেক্ষা করে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আসা মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিনিসহ আরও ৪ জন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সকাল নয়টার দিকে সমাবেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভালুকা বাজারে আসতেই স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী তাঁদের পথ আটকে ধরেন। অটোরিকশা থেকে নামিয়ে দেন। এরপর তাঁরা চারজনই পৃথকভাবে মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানে চড়ে এসেছেন সমাবেশস্থলে।

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম

বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সমাবেশে থাকতে পারছেন, এতেই আনন্দিত মো. হায়দার আলী। একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে খেতে তিনি বলেন, তিনি আগে থেকেই জানতেন, সরকার দলের লোকজন সমাবেশ ঠেকাতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তাই তিনি ও তাঁর বন্ধু নাদির আলী আগের দিন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় চলে আসেন ময়মনসিংহ শহরে। এরপর রাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে ঘুমিয়ে সকালে সমাবেশে যোগ দেন। হায়দার বলেন, ‘সমাবেশে প্রচুর লোকজন। এটা দেখেই খুব ভালো লাগছে। কষ্ট হলেও সমাবেশে অংশ নিতে পারছি এটাই আনন্দের।’