প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুঠোফোনে স্বামীর সঙ্গে অন্য নারীর ছবি, প্রতিবাদের পর গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়ন থেকে ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ফারজানার স্বামী জহিরুল ইসলাম পলাতক। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে ইউনিয়নের চর কলমি গ্রাম থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় মারধর করে হত্যা করা হয়েছে ফারজানাকে।

ফারজানা আক্তার সুবর্ণচর উপজেলার চর বৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে। তাঁর বাবা বসির উল্যাহ ও বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে ফারজানার বিয়ে হয়। গতকাল ফারজানা স্বামীর মুঠোফোনে অন্য এক নারীর সঙ্গে জহিরুলের ছবি দেখে প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করেন জহিরুল। এর আগেও জহিরুলের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তাঁরা মীমাংসা করেছেন। গতকাল পুনরায় ধরা পড়ে গেলে তাঁকে হত্যা করা হয়। তাঁদের বাড়িতেও মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি। পরে লোকমুখে বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা জহিরুলের বাড়িতে গিয়ে মেঝেতে ফারজানার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুস সুলতান প্রথম আলোকে বলেন, ফারজানা আক্তারের মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী জহিরুল ইসলাম পলাতক। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।