চিকিৎসক দেখাতে এসে সড়কে প্রাণ গেল পুলিশ সদস্যের, আইসিইউতে স্ত্রী

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে বাসচাপায় জুয়েল রানা (৩২) নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা চলছে স্ত্রী সুলতানা বেগম ওরফে রুমার (২৬)। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সাঁকোয়া টার্নিং পয়েন্টের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুরকুটি নিচুগ্রামের মহিদুর রহমানের ছেলে। তিনি বগুড়ার আদমদীঘি থানার কনস্টেবল ছিলেন। ঈদের পরে ছুটি নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখাতে মোটরসাইকেলে করে রাজশাহীতে আসছিলেন তাঁরা।

মোহনপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা নিতাই চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, জুয়েল রানার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। ঈদের পর এক সপ্তাহের ছুটি পেয়ে স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখাতে মোটরসাইকেলে করে রাজশাহীর উদ্দেশে আসছিলেন তাঁরা। পথে মোহনপুর উপজেলার সাঁকোয়া রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের টার্নিং পয়েন্টে বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে জুয়েল বাসের চাকায় পিষ্ট হন এবং তাঁর স্ত্রী মাথায় আঘাত পান। জুয়েল ও তাঁর স্ত্রীকে দ্রুত উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জুয়েলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাঁর স্ত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর উপজেলার কেশরহাট তেল পাম্পের সামনে বাস রেখে চালক পালিয়ে যান। পরে সেখান থেকে পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য জুয়েল রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন, পথে দুর্ঘটনা ঘটে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই জুয়েলের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত জুয়েলের বাবা মামলা করবেন বলে তিনি জানান।