যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার অঙ্গীকার যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের

রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল মজিদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এই অঙ্গীকার করেন।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বলা আছে, যবিপ্রবি রাজনীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে অধ্যাদেশ অনুযায়ী ক্যাম্পাসে রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা হবে।

আগামী দিনের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক আবদুল মজিদ বলেন, ‘বৃহত্তর যশোর হচ্ছে কৃষিপ্রধান অঞ্চল। মৎস্য খাতের উন্নয়নে ইতিমধ্যে যবিপ্রবিতে একটি আধুনিক হ্যাচারি স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে মাছের পোনা উৎপাদন করা হয়, যার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মৎস্যচাষিরা উপকৃত হচ্ছে। তবে কৃষি খাতের উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাগ্রো টেকনোলজি, অ্যাগ্রো বায়ো-টেকনোলজি, ন্যানো-টেকনোলজি বিভাগ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা যশোরের কৃষি উন্নয়নে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ছাড়া যুগের চাহিদা অনুযায়ী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূর ভবিষ্যতে অ্যার্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্সসহ আধুনিক বিভিন্ন বিভাগ খোলারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

উপাচার্য জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন মাত্র ৩৫ একর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপরিধি ও কলেবর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এত স্বল্প জায়গায় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। নতুন দুটি আবাসিক হল চালু হয়েছে। খুব অল্প সময়েই এ বিশ্ববিদ্যালয় একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। ফলে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চাসহ ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও জায়গা প্রয়োজন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির ডিন অধ্যাপক এইচ এম জাকির হোসেন, অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক শিরিন নিগার, অধ্যাপক মো. জাফিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মো. জিয়াউল আমিন প্রমুখ।