নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানসহ ১৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার রাতে আরিফ মিয়া (৩২) নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এক ব্যক্তি থানায় মামলাটি করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী আরিফ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বাসিন্দা। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকায় বসবাস করেন।
ওসি শাহীনূর আলম প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেন আরিফ মিয়া। পরে আদালত মামলাটি থানায় রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশনায় মামলাটি নেওয়া হয়েছে।
মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই শামীম ওসমানসহ মামলার প্রথম ২০ আসামি নারায়ণগঞ্জে বৈঠক করে আন্দোলন দমনের সিদ্ধান্ত নেন। পরদিন সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেন। এ সময় বাদী আরিফ মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর হাঁটু ও শরীরের কয়েকটি স্থানে গুলি লাগার পর তিনি জ্ঞান হারিয়ে সড়কে পড়ে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তিনি মামলার সিদ্ধান্ত নেন।