পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারাবাগানে বেড়ানো শেষে ফেরার পথে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ৬১ জন শিক্ষার্থীকে বহন করা একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট লঞ্চঘাটের কাছে কঁচা নদীতে এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
ফায়ার সার্ভিস ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল সকালে পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৩০০ শিক্ষার্থী ৭টি ট্রলারে আটঘর কুড়িয়ানার পেয়ারাবাগান ও ভাসমান হাটে বেড়াতে যায়। সন্ধ্যায় ছয়টার দিকে তারা সেখান থেকে পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত সোয়া আটটার দিকে সদর উপজেলার হুলারহাট লঞ্চঘাটের অদূরে কঁচা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি ট্রলারকে ধাক্কায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের শিক্ষার্থীরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রলার নিয়ে নদীতে উদ্ধার অভিযান চালান এবং আহত ছাত্রদের পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রীতম সিংহ অন্য একটি ট্রলারে ছিল। সে জানায়, ‘আমাদের কাছাকাছি ওই ট্রলারটি ৬১ জনকে নিয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায়। এরপর আমাদের ট্রলারসহ আশপাশের ট্রলারগুলো গিয়ে নদী থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে।’
ডুবে যাওয়া ট্রলারের থাকা পিয়াস তালুকদার বলে, হঠাৎ একটি বাল্কহেড অন্ধকারের মধ্যে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। এ সময় তারা নদীতে সাঁতার কেটে বাল্কহেড ও আশপাশে থাকা ট্রলারে ওঠে। ঘটনার পর দ্রুত অন্য ট্রলারগুলো উদ্ধার অভিযান চালানোর কারণে সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ট্রলারডুবির পর সবাইকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত ছাত্ররা পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।