রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় অধ্যাপকের শাস্তি বাতিল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দুই বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি পাওয়া মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হকের শাস্তি বাতিল করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সদস্য ফরিদ উদ্দিন খান।

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভার ৩৮ নম্বর সিদ্ধান্তে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে শাস্তির বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব পাস হয়। পাশাপাশি যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধবিষয়ক অভিযোগ কমিটিকে আগের তদন্ত প্রতিবেদনটি অধিকতর পর্যালোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই কমিটির পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় আগের শাস্তির সিদ্ধান্তটি বাতিল করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ফলে তিনি সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মনোবিজ্ঞান বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই সময়ে তদন্তের পর তাঁর শাস্তি হয়েছে, সেটি ফরমায়েশি। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি তাঁর শাস্তি রহিত করা হয়েছে।’

গত বছরের ২১ মে অধ্যাপক এনামুল হকের বিরুদ্ধে এক নারী সহকর্মীর প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন ও যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক। পরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভায় এনামুল হককে দুই বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।