অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। মঙ্গলবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বেতবুনিয়া বাজারে
অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। মঙ্গলবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বেতবুনিয়া বাজারে

মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশি আহত

বান্দরবানের সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ছৈয়দ আলম (৩৫) নামের এক ইজিবাইকচালক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া একটার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শফিউল আলম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আহত ছৈয়দ আলম তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে। বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মর্টার শেলের একটি টুকরা এসে তাঁর কপালে লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখন তিনি নানাবাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছৈয়দ আলম ইজিবাইক চালিয়ে দুপুরে বাড়িতে ভাত খেতে আসেন। বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেলের কিছু অংশ বাড়ির আশপাশে এসে পড়ে। সেখান থেকে একটি অংশ ছিটকে এসে ছৈয়দ আলমের কপালে লাগলে তিনি লুটিয়ে পড়েন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি নানাবাড়িতে আশ্রয় নেন।

এ বিষয়ে আহত ছৈয়দ আলমের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিউল আলম বলেন, মর্টার শেলের একটি অংশ ছৈয়দ আলমের শরীরে আঘাত করে। এতে তিনি কপাল চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, রোববারের পর আতঙ্ক একটু কমলেও পশ্চিমকুল এলাকায় আজ আবার মর্টার শেল এসে পড়ায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সংঘর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে সীমান্তের ওপারে বিজিপিকে হটিয়ে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে গতকাল সোমবার ঘুমধুমের জলপাইতলী গ্রামে একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ।