ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে বাছাইকালে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে। ওই দুজনই স্বতন্ত্র প্রার্থী। আজ বুধবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—মো. কামরুজ্জামান ও মো. আবদুল কাদের। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তাঁদের সমর্থনকারী এক শতাংশ ভোটারের নাম-স্বাক্ষর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) যে তথ্য জমা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে গরমিল পাওয়া গেছে। কারও নামের সঙ্গে এনআইডি মেলেনি। আবার কোনো সমর্থনকারীকে ফোন করে জানা গেছে, এ বিষয়ে তিনি অবগতই নন। ফলে ওই দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ বাছাইকাজ পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা খুলনা মো. হুমায়ূন কবির।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, যে দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁরা আপিল করতে পারবেন। কাল বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনারের সচিবালয়ে এ আপিল করতে হবে।
দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর এ উপনির্বাচনে প্রার্থী রইল চারজন। তাঁরা হলেন—জাতীয় সংসদের সদ্য প্রয়াত উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জয়নুল আবেদীন এবং জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন মিয়া।
গত ১১ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয় উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। ৫ নভেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে এ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। এ সংসদীয় আসনে ভোটার ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন।