জব্দ করা ভারতীয় ট্রলার তিনটি মোংলা ফেরিঘাট–সংলগ্ন এলাকায় বেঁধে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে
জব্দ করা ভারতীয় ট্রলার তিনটি মোংলা ফেরিঘাট–সংলগ্ন এলাকায় বেঁধে রাখা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলে আটক

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করা ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এ সময় ভারতীয় তিনটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া–সংলগ্ন গভীর সাগর থেকে ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। আজ সকালে তাঁদের মোংলা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ইলিশ সংরক্ষণে সাগরে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। তবে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন আটক ভারতীয় জেলেরা। বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের নিয়মিত টহল চলাকালে জাহাজের রাডারে সন্দেহজনক মাছ ধরার ট্রলারের উপস্থিতি লক্ষ করে। এ সময় তারা ওই ট্রলারের দিকে এগোতে থাকলে মাছ ধরার ট্রলারগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা ধাওয়া করে তিনটি ভারতীয় ট্রলারকে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে আটক করেন। এতে ভারতীয় মোট ৪৮ জন জেলে ছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে আটক ট্রলার ও জেলেদের মোংলায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড দপ্তরে আনা হয়।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, আটক ট্রলার তিনটিতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৭০০ কেজি সামুদ্রিক মাছ ছিল, যা নিলামের মাধ্যমে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। ভোররাতে জব্দ করা ট্রলার ও আটক জেলেদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আটক জেলেদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।