প্রথম আলোতে ছাপা সংস্করণে গত ২৭ জুলাই ‘পাবনা: জামায়াত নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকার ও ১৩ সংসদ সদস্য’, অনলাইনে ‘জামায়াত নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকারসহ সংসদ সদস্যদের মধ্যাহ্নভোজ’, ‘জামায়াত নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকারসহ সংসদ সদস্যদের মধ্যাহ্নভোজ নিয়ে নানা আলোচনা’ ও ‘জামায়াত নেতার বাড়িতে ডেপুটি স্পিকারের মধ্যাহ্নভোজ কী বার্তা দেয়?’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ব্যাখ্যা দিয়েছে ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২। তাদের দাবি, প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রকৃতপক্ষে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু ও মহিলা সংসদ সদস্যরা গত ২৬ জুলাই পাবনা জেলা সফরকালে কোনো জামায়াত নেতার বাড়িতে যাননি। তিনি মধ্যাহ্নভোজে অংশগ্রহণ করেছেন ঈশ্বরদী উপজেলার ইসলামপুরে অবস্থিত ঈশ্বরদী বিসিকের আরআরপি রেস্টহাউসে। ওই মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থাপনায় ছিল আরআরপি গ্রুপ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যরা ঈশ্বরদী পৌর জামায়াতের আমির ও আরআরপি ফিড মিলের মালিক গোলাম আজমের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ ও বিশ্রাম করেন।’ বাস্তবে আরআরপি গ্রুপের মালিকানায় গোলাম আজম নামের কোনো ব্যক্তি নেই।
এ ছাড়া ওই দিন ডেপুটি স্পিকার গাছের চারা রোপণ করেন আরআরপি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আঙিনায়, সেটা কোনো জামায়াত নেতার প্রতিষ্ঠান নয়। ওই প্রতিবেদনে গোলাম আজম নামে যে জামায়াত নেতার কথা বলা হয়েছে, তা কল্পনাপ্রসূত ও পুরোপুরি মিথ্যা।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারাই জামায়াত নেতা গোলাম আজমের ব্যবসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্যের অডিও রেকর্ড প্রথম আলোর কাছে সংরক্ষিত আছে। ঘটনার দিন ডেপুটি স্পিকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলেননি। অন্যদিকে আরআরপি গ্রুপ গোলাম আজমসহ চার ভাইয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বলে জানিয়েছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, রেস্টহাউস—এর সবই একই আঙিনায়। এ ছাড়া মধ্যাহ্নভোজ ও বৃক্ষরোপণসহ সব আয়োজনে জামায়াত নেতা গোলাম আজম ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে ছিলেন। সে ছবি প্রথম আলোর কাছে সংরক্ষিত আছে।