নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগ সামলাবেন প্রবীণ-নবীন মিলে

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবীণ-নবীন মিলে নেতৃত্বে নতুন মুখ এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। নাম ঘোষণার পর যাঁরা বেশি আলোচনায় ছিলেন তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা নিরাশ হন।

এবার সভাপতি হিসেবে আলোচনায় ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান। আর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় ছিলেন জেলা পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান। যদিও তিনি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তবে অনেকের ধারণা ছিল, তাঁকে সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে। নজরুল ইসলাম খান না হলে জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক প্রশাসক প্রশান্ত কুমার রায় সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন, এমন একটা ধারণাও নেতা-কর্মীরা করেছিলেন।

সম্মেলনের এক দিন আগে অর্থাৎ গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে রব ওঠে, সভাপতি হচ্ছেন দলের সহসভাপতি অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল নুর খান আর সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর খান ওরফে মিঠু। সম্মেলনে নাম ঘোষণার আগপর্যন্ত তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এই বিশ্বাসেই ছিলেন। তবে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে শামছুর রহমান ওরফে ভিপি লিটনের নাম ঘোষণার পর অন্য নেতাদের কর্মী-সমর্থকেরা নিরাশ হন। এ সময় মাঠে উপস্থিত বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক করতালি দিয়ে তাঁদের অভিনন্দন জানান।

দলের সাধারণ নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, যে দুজন নেতৃত্বে এসেছেন তাঁরা দলের জন্য নিবেদিত ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা। সভাপতি আমিরুল ইসলাম আগের কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আর শামছুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ আলী খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবেই। নেত্রকোনা আওয়ামী লীগে অতীতে কখনো বিভেদ ছিল না, এখনো থাকবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করতে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।’