বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি নিজস্ব দলীয় প্রতীক হাতুড়ি নিয়েই লড়বে। হাতুড়ি শ্রমজীবী মানুষের প্রতীক, মেহনতি মানুষের প্রতীক ও সাধারণ মানুষের প্রতীক। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থীরা এ নিজস্ব প্রতীক নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন।
আজ শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত জনসভায় এসব কথা বলেন রাশেদ খান মেনন। সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টি এ জনসভার আয়োজন করে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা প্রকাশ করে। কিন্তু এই উন্নয়নের ছোঁয়া গ্রামাঞ্চলের গরিব ও শ্রমজীবী মানুষ পাচ্ছেন না। যাঁদের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই প্রবাসী শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক ও গ্রামের কৃষক-খেতমজুরেরা এই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, দফায় দফায় তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে কৃষিসহ সব দ্রব্যমূল্যের ওপর। কৃষি উৎপাদন খরচও বেড়ে যাচ্ছে। কৃষকের উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও তাঁরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। কৃষিতে বাজার সিন্ডিকেটের কারণে রাতারাতি ইচ্ছেমতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য ও বাজারব্যবস্থায় নেই সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ। তিনি বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ রেশনিং–ব্যবস্থা, ষাটোর্ধ্ব সব নাগরিককে পেনশন স্কিম, খেতমজুরদের রেজিস্ট্রেশন এবং সারা বছর কাজের দাবিতে আন্দোলন–সংগ্রাম করে আসছে। সরকার ওএমএস, ১০ কেজি ও ৩০ কেজি চালের কার্ড চালু করলেও সেখানে চলছে দলীয়করণ ও দুর্নীতি।
সাতক্ষীরা জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মহিবুল্লাহ মোড়লের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফাইমুল হকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, যশোর জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিকী, যশোর জেলার সাধারণ সম্পাদক শবদুল হোসেন খান, কেন্দ্রীয় যুব মৈত্রীর সহসভাপতি অনুপ কুমার প্রমুখ।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দলীয় প্রতীক–সংবলিত পতাকা নিয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা দলে দলে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে হাজির হন। কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বেলা আড়াইটায় জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বক্তব্য দেওয়া শুরু করে সাড়ে চারটার দিকে বক্তব্য শেষ করেন।