রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় আগুনে ৫৩টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। আজ রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা তিনটার দিকে উপজেলা সদর বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলীর হোটেলের রান্নাঘরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন তৃতীয় শ্রেণি ক্লাব ও আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু জুরাছড়ি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাঙামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে ৪৫টি দোকান ও আটটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তবে চুলা নাকি শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। আগুনের খবর পেয়ে জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, সেনাসদর জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক, জুরাছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আজম ও জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইমন চাকমা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
জুরাছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিতেন্দ্র কুমার নাথ প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ৪৫টি দোকান ও আটটি বসতঘর পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।