রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উদ্যোগে আজ বুধবার শহরে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। শহরের পান্না চত্বর সড়কে আলপনা এঁকে শিক্ষার্থীরা বিজয় আনন্দ করেন। এ ছাড়া যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে রাজবাড়ী শহর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আচমকা বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা থেকে তা শুরু হয়। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু হয়। কয়েক শ শিক্ষার্থী বাঁশের ঝুড়ি, চটের বস্তা নিয়ে এতে অংশ নেন। শিক্ষার্থীরা প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা পরিষ্কার করে শহরের রেলগেট এলাকায় এসে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শেষ করেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রাজবাড়ী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্যা বলেন, ‘আমরা রাজবাড়ী শহরকে সুন্দর রাখতে ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ ছাড়া বিকেলে আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে তাঁদের বাড়িতে যাব। প্রয়োজনে আরও যদি কিছু করণীয় থাকে তা–ও করা হবে। পরবর্তী সময়ে আরও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।’
সুলতানা রাজিয়া নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের আজকের এই শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কর্মসূচিতে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা আমাদের রাজবাড়ী শহরকে সুন্দর রাখতে চাই, সুন্দর করে গড়তে চাই।’
এদিকে শহরের পান্না চত্বরে একঝাঁক শিক্ষার্থী বিজয় আনন্দে আলপনা আঁকেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ অন্য কবিদের কবিতার বিভিন্ন অংশ সড়কে লেখেন তাঁরা। এ ছাড়া এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কাউট সদস্যদের অনেককে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। যানবাহনকে সারিবদ্ধভাবে চলা এবং যেসব মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট নেই তাঁদের হেলমেট পরার ব্যাপারেও সচেতন করা হয়।
আয়াত নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন করছিলাম, তখন এই পান্না চত্বরে দাবি আদায়ের জন্য নানা ধরনের স্লোগান লিখেছিলাম। কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের সব স্লোগান মুছে ফেলে। আমরা আজকের এই বিজয় আনন্দে নানা স্লোগানসহ আলপনা এঁকে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ এই কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।