আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের জানাজায়
আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের জানাজায়

জানাজায় সহকর্মী হত্যার বিচার চাইলেন আইনজীবীরা

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন (৫ আগস্ট) কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এর ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলার আইনজীবীরা। আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর জানাজা শেষে এ দাবি জানান তাঁরা।

আবুল কালাম আজাদ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কুমিল্লা শাখার যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার কাজীরগাঁও এলাকায়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আবুল কালাম আজাদ একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ছিলেন। যারা আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করেছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’

কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্মমতার বলি হয়েছেন আমাদের সহকর্মী আবুল কালাম আজাদ। তাঁকে নগরীর মোগলটুলী এলাকায় নির্মমভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে আহত করা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমুল হক রিংকু দাবি করেন, ‘গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিকেলে নগরীর প্রতিটি সড়কে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি সহিংসতাও চলেছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কুমিল্লা আদালতে হামলার খবর পেয়ে আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী সেখানে ছুটে যান। পরে তাঁরা মাগরিবের নামাজ আদায়ের জন্য নগরীর মোগলটুলী এলাকায় গেলে সিটি কাউন্সিলর রায়হানের নেতৃত্বে তাঁদের ওপর হামলা ও গুলি করা হয়।’

জানাজায় উপস্থিত হয়ে আরও বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম, কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুর রশীদ ইয়াছিন, শতাধিক আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।