কেটে ফেলা করলাগাছ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক তরিকুলের স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌসী। মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের নেউলাপাড়ায়
কেটে ফেলা করলাগাছ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন কৃষক তরিকুলের স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌসী। মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের নেউলাপাড়ায়

করলাগাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এক কৃষকের জমির ২৫ শতাংশ করলাগাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাতের কোনো এক সময় উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের নেউলাপাড়া গ্রামের কৃষক তরিকুল আলমের জমিতে এ ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক তরিকুল আলম জানান, বাড়ির পাশে এক বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছিলেন। দিনরাত পরিশ্রমের পর খেতে ফলন আসতেও শুরু করে। আজ মঙ্গলবার ভোরে জমিতে এসে দেখেন, ২৫ শতক জমির করলাগাছ কেটে ফেলে রাখা। খেতে ৩৫০টি করলাগাছ ছিল।

গাছগুলো কারা কেটেছেন, তা দেখেননি তরিকুল আলম। তবে এ ঘটনার জন্য প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলী জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করছেন তিনি। তরিকুল অভিযোগ করে বলেন, জমির মালিকানা নিয়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি মোহাম্মদের লোকজন তাঁদের ধান রাখার ঘরে আগুনও ধরিয়ে দেয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই করলাগাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসাজশ আছে বলে তিনি দাবি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রতিবেশী মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গিয়েও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তরিকুলের স্ত্রী জান্নাতুন ফেরদৌসী বলেন, ঋণ নিয়ে দিনরাত কষ্ট করে তাঁরা করলা চাষ করেছিলেন। কয়েক দিন আগে ৬ মণ করলা বিক্রি করেছেন। কিছু লাভের আশা ছিল। কিন্তু খেতের ১৪টির মধ্যে ১০টি বেডের করলাগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন লাভ তো দূরে থাক, কীভাবে দেনা শোধ করবেন, তা নিয়ে চিন্তিত। তরিকুলের ছেলে নূর মোস্তাফা বলেন, ‘জমি নিয়ে আমাদের সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে। কিন্তু করলাগাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, কারা কী কারণে করলাগাছ কেটে দিয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কৃষকের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।