হাতীবান্ধায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে হামলা ও দুটি ক্যাম্প ভাঙচুর, আহত ৮

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর মিছিলে হামলা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। রোববার রাত ১০টার দিকে
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আতাউর রহমান প্রধানের মিছিলে হামলা ও তাঁর দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের সাধুর বাজার এবং একই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মিলন বাজারে এ দুটি ঘটনা ঘটেছে। এ দুই হামলায় আটজন আহত হয়েছেন। তাঁদের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন সাজ্জাদ হোসেন (২১), মনির হোসেন (২০), বাদল মিয়া (৩৮), রমজান আলী (৩২), আল আমিন (১৮), বিপ্লব হোসেন (১৯), অর্ণব (২৪) ও মাছুম মিয়া (২৮)। তাঁরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক।

হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ারুল হক বলেন, হামলায় আহত কয়েকজন চিকিৎসাসেবা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। বাকিরা এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট-১ ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টানা চারবারের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন।

রোববার রাত ১০টার দিকে হাতীবান্ধার সানিয়ারজান ইউনিয়নের সাধুর বাজারে ঈগল প্রতীকের সমর্থকেরা মিছিল বের করেন। এ সময় নৌকার সমর্থকেরা ওই মিছিলে হামলা চালান এবং ঈগলের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেন। একই সময় উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের খানের বাজারে নৌকার কর্মীরা ঈগলের আরেকটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালান বলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর অভিযোগ করেছেন। এ দুই হামলায় ঈগলের আটজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈগল মার্কার জনপ্রিয়তা দেখে আমাদের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর এবং আমাদের সমর্থকদের মারধর করছেন নৌকার সমর্থকেরা। এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই দুই ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তির কথা শুনেছি। নির্বাচন–সংক্রান্ত সব বিষয় দেখছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।’