নাটোরের লালপুরের একটি মুরগি ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পেড়েছে। সেটি হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন একজন। আজ সকালে ভাটপাড়া গ্রামে।
নাটোরের লালপুরের একটি মুরগি ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পেড়েছে। সেটি হাতে নিয়ে দেখাচ্ছেন একজন। আজ সকালে ভাটপাড়া গ্রামে।

মুরগি দিয়েছে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম, দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

মুরগির ডিমের ওজন সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ গ্রামের মধ্যে হয়। তবে নাটোরের লালপুরে ১৮০ গ্রাম ওজনের ডিম পেড়েছে একটি মুরগি। এই ডিম দেখতে উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে গোলাম কিবরিয়ার খামারে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।

গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রায় পাঁচ মাস আগে নিজ বাড়িতে লেয়ার মুরগির একটি খামার গড়ে তোলেন। এক মাস ধরে মুরগিগুলো ডিম দিতে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার সকালে খামারে গিয়ে অস্বাভাবিক বড় একটি ডিম দেখতে পান তাঁর মা। ঘটনাটি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানালে তাঁরাও ডিমটি দেখে বিস্মিত হন। পরে দুপুরের দিকে গোলাম কিবরিয়া ডিমটি সংগ্রহ করে বাড়িতে আনেন। ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্রে ওজন করে দেখতে পান, ডিমটির ওজন প্রায় ১৮০ গ্রাম। বিষয়টি তিনি মুঠোফোনে স্থানীয় পশু চিকিৎসককে জানান।

ডিমটি দেখতে গিয়েছিলেন ভাটপাড়া গ্রামের অন্যতম প্রবীণ ব্যক্তি ইলিয়াস হোসেন (৮০)। তিনি জানান, ডিমের ওজন ও আকৃতি দেখে অবাক হয়েছেন। কারণ, তাঁর জীবদ্দশায় এত বড় ডিম আগে কখনো দেখেননি। স্বাভাবিক ডিমের তুলনায় এই ডিম প্রায় চার গুণ বড়। ডিমটির গঠনও আলাদা। এর খোসা মসৃণ নয়, কিছুটা খড়খড়ে। তবে রং অন্য ডিমের মতোই।

তবে ডিমটি কোন মুরগি পেড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মুরগিটিকে চিহ্নিত করা গেলে সেটিকে কিনতে চান প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘কোন মুরগি ডিমটি পেড়েছে, তা জানার খুব ইচ্ছা হচ্ছে। খামারি বিক্রি করতে রাজি হলে আমি ডিমদাতা মুরগিটি যেকোনো মূল্যে কিনতে রাজি আছি। খামারি ডিমটিও বিক্রি করতে রাজি হননি। আবার এমন আকৃতির ডিম পাড়বে কি না, তা জানার আগ্রহে আমরা অপেক্ষা করছি।’

ঘটনাটিকে বিরল বলে উল্লেখ করেছেন লালপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘এর আগে কখনো এত বড় ডিম দেখিনি বা শুনিওনি। এটি নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।’