ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ১১ বছর পর মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নিহত ব্যক্তির শ্বশুর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শফিকুল ইসলাম ও তাহজীব আলম সিদ্দিকী ছাড়া মামলার এজাহারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদসহ আওয়ামী লীগের ৭০ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় শ থেকে দুই শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের কটূক্তি ও সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ঝিনাইদহ শহরে ওলামা-মাশায়েখদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহর ঘুরে নতুন হাটখোলা সড়কে পৌঁছালে পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলে থাকা ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক জামায়াতের কর্মী আবদুস সালামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশের ময়নাতদন্ত ও জানাজা, এমনকি ঝিনাইদহে লাশ দাফন করতে দেননি আসামিরা।
মামলার বাদী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিহত আবদুস সালামের দুই শিশুসন্তান আবদুল্লাহ আল নোমান ও আবদুল্লা আল নাবিক বাবাকে হারিয়ে অথই সাগরে পড়ে। তাদের মা তানিয়া খাতুনকে পরে বগুড়ায় বিয়ে দেওয়া হয়। তখনকার সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো তাঁর দুই সন্তান বয়ে বেড়াচ্ছে। তাই তিনি এই হত্যার বিচারের দাবিতে মামলাটি করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন উদ্দিন বলেন, হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করেছে।