দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের চেষ্টা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান। তিনি জানিয়েছেন, কোনো ধরনের সন্ত্রাসী ও পক্ষপাতিত্বমূলক কর্মকাণ্ড রুখতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন আহসান হাবিব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতার কোনো অভাব নেই দাবি করে আহসান হাবিব বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করব, নিরাপত্তা প্রদান করব, যাতে করে নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন। আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’
মতবিনিময় সভা নিয়ে ব্রিফিংয়ে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচনকালে সুরক্ষা ও সমান সুযোগ নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বস্ত করাই আজকের মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য ছিল। নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সব প্রার্থীকে একইভাবে দেখা এবং কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করার বিষয়ে সবার সামনে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশ রাখা হবে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোটকেন্দ্রে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আহসান হাবিব বলেন, যদি প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনে করেন কোনো সন্ত্রাসী ও পক্ষপাতিত্ব কর্মকাণ্ড আছে, তখন পুলিশকে ডেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবেন। যদি কোনো কারণে কন্ট্রোল করতে না পারেন, তাহলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। একটি-দুটি ও পাঁচটি কেন্দ্র বন্ধ হলে কোনো ব্যাপার না। প্রয়োজনে সেখানে আবার নির্বাচন হবে। কিন্তু কোনো প্রকার ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করবে।
ভোটার উপিস্থিতি প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনারের ভাষ্য, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অবশ্যই চ্যালেঞ্জের। ভোটারদের উপস্থিতির ব্যাপারে কাজ করবেন প্রার্থীরা। আমাদের কাজ সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে, নির্দ্বিধায় ও নিরাপত্তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেন, সে জন্য প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর রাখা হয়েছে।’