মহাসড়ক থেকে নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী বিভাগে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতি।
গতকাল শনিবার নাটোরে এ ঘোষণা দেওয়ার পর আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর ১০ দফা দাবিসংবলিত একটি চিঠি দিয়েছেন সমিতির নেতারা।
আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আগমন ঘটবে।
বিএনপির নেতাদের ভাষ্য, সমাবেশে নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়ার জন্য এ পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, এটা তাঁদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ।
রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর আজ রোববার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ১০ দফা দাবিসংবলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিকেল হয়ে যাওয়ায় সে সময় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ছিলেন না। পরে চিঠিটি তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাফকাত মঞ্জুর আরও বলেন, আজ তাঁরা রাজশাহী বিভাগের ১৩টি মালিক সমিতিতে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠি পেয়ে দ্রুতই তাঁদের দাবিদাওয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, চেম্বার অব কমার্স, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের দেবে সমিতিগুলো। দাবি না মানা হলে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহর মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ধরেননি।
পরিবহন মালিক সমিতির ১০ দফা দাবিগুলো হলো, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক বা আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার (নছিমন, করিমন, ভটভটি, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ইত্যাদি) চলাচল বন্ধ করতে হবে, জ্বালানি তেল ও যন্ত্রাংশের মূল্য হ্রাস করতে হবে, করোনাকালে গাড়ি চলাচল না করায় সে সময়ে প্রদানকৃত ট্যাক্স মওকুফ করতে হবে, সব ধরনের সরকারি পাওনাদির (ট্যাক্স-টোকেন, ফিটনেস) অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্ধ করতে হবে, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স–সংক্রান্ত নানাবিধ জটিলতা নিরসন করতে হবে, পরিবহনের যাবতীয় কাগজপত্রাদি হালনাগাদ বা সঠিক থাকার পরও নানাবিধ পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে, উপজেলা পর্যায়ে বিআরটিসি চলাচল অতিদ্রুত বন্ধ করতে হবে, মহাসড়কে হাট-বাজার আয়োজন বা পরিচালনা করা যাবে না এবং চলমান হাটবাজার অতিদ্রুত উচ্ছেদ করতে হবে, যাত্রী ওঠা-নামানোর জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রত্যেক জেলায় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ ও ট্রাক ওভারলোড বন্ধ করতে হবে।